Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

এক নজরে

 

উপজেলা শিক্ষা অফিসের আওতা:

বিদ্যালয়, শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীঃ

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়                                                        = ৬৭

বিদ্যালয়বিহীন এলাকায় নতুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়            =  ৮

নতুন জাতীয়রণকৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়                           =  ১৩

বেসরকারি/কিন্ডার গার্টেন                                                            =১৮

মোট শিক্ষার্থী                                                                             = প্রায় ১১ হাজার

শিক্ষক পদ                                                                               = ৪১৩

উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়, ফুলগাজী, ফেনী এর কর্মসম্পাদনের সার্বিক চিত্র

(Overview of the Performance of the Upzlia education office, Fulgazi, Feni.)

সাম্প্রতিক অর্জন, চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাঃ

 

সাম্প্রতিক বছরসমূহের (৩ বছর) প্রধান অর্জনসমূহঃ

 

প্রাথমিক শিক্ষার গুরুত্ব উপলব্ধি করে বর্তমান সরকার সমতাভিত্তিক ও মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।শিক্ষক:শিক্ষার্থী এবং শিক্ষার্থী: শ্রেণিকক্ষের অনুপাত হ্রাসকরণের লক্ষ্যে এ উপজেলায় নতুন শিক্ষকের পদসৃষ্টিসহ 83 জন শিক্ষকের নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। শতভাগ ভর্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালু করা হয়েছে। বাস্তব চাহিদার আলোকে প্রতিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১টি করে মোট 46 টি দপ্তরি কাম প্রহরী পদ সৃজন করা হয়েছে। বিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে নলকূপ স্থাপনসহ 20 টি ওয়াশব্লক নির্মাণ করা হয়েছে। বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সকল শিক্ষার্থীর মধ্যে ২০১9 সালে বিনামূল্যের মোট 49893টি বই বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া, ঝরেপড়া রোধসহ প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনের লক্ষ্যে দরিদ্র পরিবারের শিক্ষা সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় 7784 জন  শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি এর আওতায় আনা হয়েছে। 67 টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্টুডেন্ট কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে।  তাছাড়া, 67টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য মিড-ডে মিল চালু করা হয়েছে। বিদ্যালয় ভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনা বিকেন্দ্রীকরণে 67 টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘স্কুল লেভেল ইমপ্রুভমেন্ট প্ল্যান (SLIP)বাস্তবায়নের জন্য বিদ্যালয় প্রতি বাৎসরিক ৪০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ প্রদান করা হচ্ছে। ২০০৯ সাল থেকে নিয়মিতভাবে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা গ্রহণ করা হচ্ছে। ২০১২ সাল হতে  বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্ণামেন্ট পরিচালিত হয়ে আসছে। একই সাথে উপজেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে নিয়মিতভাবে আন্ত:প্রাথমিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

 

সমস্যা ও চ্যালেঞ্জসমূহ:

ফেনী জেলার ফুলগাজী ‍উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষার প্রধান প্রধান সমস্যা ও চ্যালেঞ্জসমূহ হচ্ছে নতুন শিক্ষক/কর্মকর্তার শূন্য পদ পূরণ এবং নতুন ভবন/শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ ও সংস্কারের মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং শ্রেণিকক্ষ-শিক্ষার্থীর কাঙ্খিত অনুপাত অর্জন নিশ্চিত করা। শিক্ষক কর্তৃক শ্রেণিকক্ষে গতানুগতিক পাঠদানের প্রবণতা পরিহার করে পদ্ধতি মাফিক পাঠদানে অভ্যস্ত করা। হত দরিদ্র পরিবারের শিশুদেরকে বিদ্যালয়ের পরিবর্তে শ্রমঘন কর্মস্থানে প্রেরণ নিরুৎসাহিত করা। শিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধি এবং সমতাভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা। জাতীয় শিক্ষানীতির ভিত্তিতে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা।

 

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:

সকল শিক্ষার্থীর ছবিসহ আইডি কার্ড ও ডাটাবেজ প্রণয়নসহ প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থাপনা এবং অবকাঠামো নির্মাণ নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। ঝরে পড়া ও স্কুল বর্হিভূত শিশুদের বিদ্যালয়ে আনয়ন এবং তাদের প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণের জন্য সম্ভাব্য সকল উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। সকল শিশুর জন্য সমতাভিত্তিক ও মানসন্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ বাস্তবায়নের পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে উদ্ভাবনী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে সমগ্র উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহ ই-মিনিটরিং এর আওতায় নিয়ে আসা।

২০১9-20 অর্থবছরের সম্ভাব্য প্রধান অর্জনসমূহ:

  • সর্বজনীন ও বৈষম্যহীন প্রাথমিক শিক্ষা সম্প্রসারণের জন্য শ্রেণিকক্ষ, নলকূপ স্থাপন এবং ওয়াশব্লক নির্মাণ;

  • নির্ধারিত সময়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যের বই বিতরণ;

  • প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় তথ্য ও যোগযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার;

  • কনটেন্ট ভিত্তিক পাঠদানের জন্য শ্রেণি কক্ষে ল্যাপটপ ও মাল্টিমিডিয়া স্থাপন;

  • আইসিটি ভিত্তিক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন;

  • দরিদ্র শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও স্কুল ফিডিং এর আওতায় আনয়ন;

  • বিদ্যালয় পর্যায়ে উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন;

  • পরিদর্শন কার্যক্রম ফলপ্রসূ ও জোরদার করা;

  • সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহ ই-মনিটরিং এর আওতায় নিয়ে আসা।